ইনসাইড বাংলাদেশ

জনগণের তথ্য ভান্ডার করছে বিবিএস 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০৩ এএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১


Thumbnail

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) দেশজুড়ে এনপিআর করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সংস্থাটি বলছে, এনপিআর তথ্যভাণ্ডারে শূন্য থেকে শুরু করে তথ্য থাকবে প্রত্যেক বয়সী মানুষের। এতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধনে দেশের সব মানুষের জনতাত্ত্বিক ও বায়োমেট্রিক তথ্যসহ থাকবে একটি বিশদ তথ্যভাণ্ডার। একজন মানুষের বয়স, রক্তের গ্রুপ, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, পেশা, ধর্ম, বর্ণ, পরিবারের সব তথ্য থাকবে তাতে।  

গতকাল রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলা-নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় বিষয়টি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।

কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের রেজিস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটাকে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষের প্রাইভেসি রক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশি সংস্থাগুলো আমাদের তথ্য নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যবহার করছে। এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। রেজিস্টার খাতে অভারলেপিং না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে সময় ও অর্থের অপচয় ঘটে। অর্থের অপচয় আমরা কোনো ভাবেই মানতে পারি না।

প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, এটা একটি মাইলফলক হবে। এখানে নাগরিকদের সব তথ্যেই থাকবে। এটা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে ডুপ্লিকেশন, ওভারলেপিং বা এ ধরনের বিষয়গুলো যাতে না হয়। সময়, খরচ ও জটিলতা এড়াতে ধীর স্থিরভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই রেজিস্টার যাতে শক্তিশালী হয়। তথ্য সঠিক না হলে পরিকল্পনা সঠিক হবে না। বেইজ ইয়ার ডাটা দ্রুত ঠিক করা দরকার। জনশুমারির করছি এটা এক ধরনের শুমারি। আমাদের হাউজ হোল্ড ডাটা বেজ করেছি। সেখানেও কিছু তথ্য নেওয়া হয়েছে। হাউজ হোল্ড ডাটা বেজ এনআইডি ডাটা বেজ, জনশুমারি এবং এনপিআর সবগুলোই কিন্তু কাছাকাছি।

উল্লেখ্য, দেশে জনসংখ্যা কত, তা জানতে বিবিএস এখন জনশুমারির কাজে হাত দিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি। আলাদা একটি জরিপের মাধ্যমে ৭২৭ কোটি টাকা খরচ করে দেশের প্রতিটি খানার তথ্য এরই মধ্যে সংগ্রহ করেছে বিবিএস।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জে সিএনজি-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ২

প্রকাশ: ০৩:৪৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ব্রহ্মকপালিয়া গ্রামে সিএনজি-পিকআপ ভ্যান সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় আরও ২ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

 

বুধবার সকাল সাড়ে ৬ টায় পাবনা-বগুড়া মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, উল্লাপাড়া উপজেলার চড়িয়া শিকার গ্রামের আব্দুল গফুর (৫৮) ও ধোপাকান্দি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৭) ।

 

উল্লাপাড়ার হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক মোঃ হিরোন জানান, ‘সিএনজি চালিত অটোরিক্সাটি হাটিকুমরুল থেকে উল্লাপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। অপর দিকে পিকআপ ভ্যানটি যাচ্ছিল উল্লাপাড়া থেকে হাটিকুমরুলের দিকে। ঘটনাস্থলে এই ২ গাড়ির সংঘর্ষ হয়। আহত দুজনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘ঘটনার সময় পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত দুটি গাড়িই আটক করেছে। দুর্ঘটনায় দুটি গাড়িই দুমড়ে মুচড়ে গেছে। নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।' 


সড়ক দুর্ঘটনা   সিএনপি-পিকআপ   সংঘর্ষ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিকাদরের মৃত্যুর তিন বছরেই সব হারাচ্ছেন দুই ছেলে!

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশেরে অন্যতম সফল ব্যবসায়ী জয়নুল হক সিকদার। একাধারে তিনি যেমন উদ্যোক্তা ছিলেন তেমনি দেশেরে সম্পদশালীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম একজন ব্যবসাসফল মানুষ। আর সেকারণেই দেশের প্রভাবশালী অনেক ব্যবসায়ী গুরু মানতেন তাকে। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারের ওপরও ছিল তার বিপুল প্রভাব। তার আশীর্বাদের জন্য তার কাছে ধরনাও দিতেন।

জয়নুল হক সিকদারের হাতে গড়ে ওঠা সিকদার গ্রুপের ব্যবসা সম্প্রসারিত হয় ব্যাংক, বীমা, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসন, নির্মাণ, হোটেল, পর্যটন, এভিয়েশনসহ নানা খাতে। কিন্তু তার মৃত্যুর তিন বছর না পেরোতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পুরো সিকদার গ্রুপ।

প্রয়াত ব্যবসায়ী জয়নুল হক সিকদারের আট সন্তানের মধ্যে দুজন বাংলাদেশে তার ব্যবসার হাল ধরেছিলেন। তারা হলেন রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদার। বেপরোয়া জীবনযাপনের মধ্য দিয়ে বারবার আলোচনায় এসেছেন এ দুই সহোদর। পিতার জীবদ্দশায় যখন যা পেতে চেয়েছেন, সেটিই পেয়েছেন। এমনকি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়েছেন বহুবার।

ন্যাশনাল ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর তাদের কর্তৃত্ব ছিল প্রভুসুলভ। পিতার প্রভাব কাজে লাগিয়ে দেশের অন্যান্য ব্যাংক থেকেও ঋণ নিয়েছেন খেয়াল খুশিমতো। কিন্তু পিতার অবর্তমানে সে সাম্রাজ্যও এখন ভেঙে পড়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক পর্ষদ থেকে ছিটকে পড়ার পর অন্য ব্যবসাগুলোও হাতছাড়া হচ্ছে তাদের।


চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়। ওই সময় ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে রন-রিকের পাশাপাশি তাদের মা মনোয়ারা সিকদারও ছিটকে পড়েন। পর্ষদ থেকে বাদ পড়লেও ব্যাংকটির শেয়ারের মালিকানায় ছিলেন তারা। কিন্তু গত দুই দিনে সে মালিকানাও হাতছাড়া হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে গত দুই দিনে ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৮ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ৪০০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে গত ৬ মে ১২ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার ৪০০টি শেয়ার ৮৩ কোটি ৭ লাখ টাকায় লেনদেন হয়। আর গতকাল ৪২ কোটি ৫১ লাখ টাকায় লেনদেন হয় আরো ৬ কোটি ৪৫ লাখ শেয়ার। ব্লক মার্কেটে শেয়ারের ক্রেতা-বিক্রেতা আগে থেকেই নির্ধারিত থাকে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, এ দুই দিনে সিকদার পরিবারের সদস্যরা তাদের মালিকানাধীন শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রন-রিকের শেয়ারের পাশাপাশি তাদের মায়ের শেয়ারও রয়েছে। এসব শেয়ার কিনে নিয়েছে দেশের প্রভাবশালী একটি শিল্প গ্রুপ। সে গ্রুপটির প্রতিনিধিরা ব্যাংকটির পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদে স্থান পেয়েছেন।

আগামী কয়েক দিনে সিকদার পরিবারের আরো কয়েক কোটি শেয়ার হস্তান্তর হবে। শুধু ন্যাশনাল ব্যাংকের শেয়ার নয়, রন-রিকের মালিকানায় থাকা বিভিন্ন কোম্পানির সম্পদও হাতছাড়া হতে চলেছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোয় রন-রিকের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা। এসব ঋণের সিংহভাগই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। খেলাপি হওয়া থেকে বাঁচতে তারা ঋণের ওপর উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে রেখেছেন। তবে একাধিক ব্যাংকে তাদের ঋণ এরই মধ্যে খেলাপি করে দেয়া হয়েছে।

তবে গুঞ্জন উঠেছে, সম্পদের তুলনায় দায়দেনা বেশি হওয়ায় রন-রিক তাদের সব সম্পদ দেশের একটি প্রভাবশালী শিল্প গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে দিচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এরই মধ্যে তাদের সব কোম্পানি হস্তান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে। এর মধ্যে জেডএইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালও রয়েছে। 

তবে বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেছেন প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের কন্যা পারভীন হক সিকদার। তিনি বলেন, ‘জেডএইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল আমার পিতার নামে। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর উত্তরাধিকারী হিসেবে আমাদের মধ্যে এ সম্পদ বণ্টন হয়নি। সে হিসেবে আমার ভাইরা চাইলেও এটি বিক্রি করতে পারার কথা নয়। তাছাড়া আমি ন্যাশনাল ব্যাংকের কোনো শেয়ার এখনো বিক্রি করিনি।’

পারভীন হক সিকদার বলেন, ‘একটি পক্ষ গুজব ও আতঙ্ক ছড়িয়ে আমাদের সম্পদ দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তারা সিকদার পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে চায়। আমি সব সময় সত্যের পথে চলেছি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। এ কারণেই ভাইদের সঙ্গে আমার বিরোধ। কন্যা হিসেবে জয়নুল হক সিকদারের রক্ত আমার শরীরে প্রবহমান। আমি এখনো ব্যর্থ হয়ে যাইনি। আশা করছি, ব্যর্থ হবও না। দ্রুতই আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’ তবে এ বিষয়ে চেষ্টা করেও রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।  প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনামের সঙ্গেই প্রায় তিন দশক পার করেছিল। কিন্তু ২০১০ সালের পর ব্যাংকটি পথ হারায়। এক যুগের বেশি সময় ধরে সিকদার পরিবারের একচ্ছত্র কর্তৃত্বে পরিচালিত হয়েছে ব্যাংকটি। প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের হাত ধরে সৃষ্টি হওয়া সে কর্তৃত্বের অবসান হয় গত বছরের শেষের দিকে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে সাত সদস্যের পর্ষদ গঠন করে দেয়া হয়। 

ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে দেয়ায় প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে ছিটকে যান। একই সঙ্গে পরিচালক পদ হারান জয়নুল হক সিকদারের ছেলে রিক হক সিকদার ও রন হক সিকদার। ওই পরিবারের প্রতিনিধি হিসেবে নতুন পর্ষদে স্থান পান কেবল পারভীন হক সিকদার। কিন্তু গত রোববার ব্যাংকটির পর্ষদ আরেক দফায় পুনর্গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন পর্ষদ থেকে পারভীন হক সিকদারও ছিটকে পড়েছেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। ব্যাংকটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩২১ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৭০। এর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ শেয়ার সিকদার পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে। পরিবারটির মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে আরো ৬-৭ শতাংশ শেয়ার।

প্রয়াত জয়নুল হক সিকদারের আট সন্তানের মধ্যে কেবল রন-রিকই বাংলাদেশে ব্যবসা বিস্তৃত করেছেন। এ দুই সহোদরের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর মধ্যে পাওয়ার প্যাক মতিয়ারা কেরানীগঞ্জ পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের নামে ১ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা, পাওয়ার প্যাক মতিয়ারা জামালপুর পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের নামে ১ হাজার ১১৯ কোটি, সিকদার রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের নামে ৬৭২ কোটি, বিইএল কনস্ট্রাকশন এসডিএন বিএইচডি লিমিটেডের নামে ৬২২ কোটি, মাল্টিপ্লেক্স হোল্ডিংস লিমিটেডের নামে ২১৪ কোটি, আর অ্যান্ড আর এভিয়েশন লিমিটেডের নামে ২৯ কোটি, পাওয়ার প্যাক মতিয়ারা খুলনা পাওয়ার প্লান্ট লিমিটেডের নামে ২৭ কোটি, পাওয়ার প্যাকের নামে ১২ কোটি এবং পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস লিমিটেডের নামে ৭ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। এছাড়া রন হক সিকদারের নামে ৩৫৩ কোটি ও রিক হক সিকদারের নামে ১৯৫ কোটি টাকার ব্যক্তিগত ঋণও রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ব্যাংকটি থেকেও নামে-বেনামে কয়েক হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন রন ও রিক। এসব ঋণ অনেক আগেই অনিয়মিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে। শুধু ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেই এ দুই ভাই বিদেশে খরচ করেছেন ৭১ কোটি টাকার বেশি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী দেশের ব্যাংকগুলোর কোনো ক্রেডিট কার্ডের অনুকূলে জামানতবিহীন সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা ও জামানতসহ সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকার ঋণসীমার সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে গত মাসের শুরুতে এ দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বিদেশে ৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয় ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। এতে রন-রিক ছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকটির সাবেক তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। দুদকের পরিচালক মো. বেনজীর আহম্মদ বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও ন্যাশনাল ব্যাংকের হিসাব থেকে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচার হয়েছে বলে দুদকের মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

এতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অনুসন্ধান প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, থাইল্যান্ডে রন হক সিকদার ও রিক হক সিকদারের নিজ নামে এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে অন্তত ২০টি ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হচ্ছে। এসব ব্যাংক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে অর্থ স্থানান্তর হয়েছে। আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, চীন, ভিয়েনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ও রাশিয়া থেকে হিসাবগুলোয় অর্থ স্থানান্তরের প্রমাণ পাওয়া গেছে।


জয়নুল হক সিকদার   বাংলাদেশ ব্যাংক   ন্যাশনাল ব্যাংক   পরিচালনা পর্ষদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: সিল মারা ৯০০টি ব্যালটসহ প্রিজাইডিং অফিসার ও এজেন্ট আটক

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail আটক প্রিজাইডিং অফিসার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় রামেশ্বাপুর ইউনিয়নের কুসুমকলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসার ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্টকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) বেলা ১২ টার দিকে তাদেরকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

আটক প্রিজাইডিং অফিসারের নাম শাজাহান আলম এবং অপরজন হলেন আনারস মার্কা প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের এজেন্ট এরশাদ আলী। সময় তাদের কাছে সিল মারা ৯০০টি ব্যালট পেপার পাওয়া যায়।

এছাড়াও প্রায় ৩০০টি জাল ভোট বাক্সে ফেলানোর অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলম।

আটকের বিষয় নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ 

জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহামুদ হাসান বলেন, ‘যেখানে অভিযোগ আছে সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

দুপুর অবধি উপজেলায় প্রায় ২০ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।


উপজেলা নির্বাচন   জাল ভোট   সিল মারা ব্যালট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশ: ০৩:১৬ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দিনাজপুরের হাকিমপুরে (হিলি) উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (৮ মে) একদিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশের মাঝে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান,  বুধবার হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে সরকারিভাবে উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে কাস্টমসের সব বিভাগ বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, এতে করে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় দুদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের ভেতরের সব কার্যক্রম চালু হবে।


দিনাজপুর   হাকিমপুর   হিলি   উপজেলা পরিষদ   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচন: নরসিংদীতে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র দখলকে নিয়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া এতে প্রায় আধা ঘন্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকে এই কেন্দ্রে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

বুধবার ( মে) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (কাপ পিরিচ) আব্দুল বাকির (আনারস) এর কর্মী সমর্থকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এসময় উভয় গ্রুপের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন: ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ, ৯৪ হাজার টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

আহতদের মধ্যে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাঁচদোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন (৪০) কাপ পিরিচ প্রতীকের সিদ্দিকের (৩০) পরিচয় পাওয়া গেছে, বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

পাঁচদোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ‘কাপ পিরিচ প্রতীকের সমর্থক স্থানীয় আল আমিনের (৩৪) নেতৃত্বে টিপু (৩১), দুলাল (২৭) অভিসহ ১০-১২ জন কেন্দ্রের ভেতরে আমাদের ওপর হামলা করে। আমি আনারস প্রতীকের এজেন্ট ছিলাম। আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।’

অভিযুক্ত কাপ পিরিচের সমর্থক আল আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছিলেন আব্দুল বাকিরের সমর্থক হুমায়ুন তার লোকজন। এতে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। আমাদের -১০ জনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমরা কাউকে আঘাত করিনি।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামসুল আরেফিন বলেন, ‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করছি, কারা কারা ঘটনায় জড়িত। পরিবেশ এখন স্বাভাবিক রয়েছে। ভোটগ্রহণ পুনরায় চলছে। নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পেয়েছি।


উপজেলা নির্বাচন   কেন্দ্র দখল   আহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন